মৌমাছি :-
মোহাম্মদ ইমদাদ উল বশির চৌধুরী
এমসিএসএ, এমসিআইটিপি, এমসিটিএস, এলএল.বি, এমসিপি, এমকম(হি:বি:), পিজিডি ইন সিএসই -- মৌমাছি চাষ বিষয়ে একাধিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । সাবেক প্রশিক্ষক, মৌমাছি পালন বিভাগ – বিসিক, হবিগঞ্জ।
মৌমাছির অর্থনৈতিক গুরুত্ব :- মৌমাছি পালনে শ্রম, সময় এবং অর্থ সবকিছুই খুব কম লাগে। প্রতি সপ্তাহে একটি মৌবাক্সের জন্য এক দেঢ় ঘন্টা সময় ব্যায় করলেই যথেষ্ট। যে কোন শিক্ষিত বা চাকুরীজীবি অথবা বেকাররা সপ্তাহের যে কোন একদিন ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে প্রতি মৌবাক্স হতে মাসে ২০০০ টাকা হতে ২৫০০ টাকা আয় করতে পারেন। একটি বাড়িতে অনায়াসে ১৫-২০টা মৌবাক্স বসিয়ে মাসে ২০০০০টাকা হতে ২৫০০০টাকার মধু আহরণ করা সম্ভব।
অন্যদিকে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মোম ও
প্রোপোলিস (Propolis) উৎপাদন এবং পরাগায়নের
মাধ্যমে ফল উৎপাদনের মাত্রা
বহুলাংশে বাড়ানো যায়।
মধু, মোম ও প্রোপোলিসের যথেষ্ট অর্থনৈতিক গরুত্ব রয়েছে।
রাসুলে পাক(সাঃ) বলেছেন সর্ব রোগের মহৌষধ “মধু”। মধু একটি পুষ্টিকর খাদ্য এবং সর্ব
রোগের মহৌষধরুপে এর ব্যবহার আদিযুগ হতেই চলে আসছে। মোমের বাণিজ্যিক ব্যবহারও
বহুবিধ। প্রোপোলিসের চাহিদা উন্নত দেশগুলোতে অনেক বেশী। অতএব রপ্তানীযোগ্য পণ্য
হিসেবে মধু ব্রান্ড হতে পারে। এছাড়াও মৌমাছিদের ফুলে ফুলে মধু আহরণকালে ফুলের
পরাগায়ণে সহায়তা করে। এতে ইতর পরাগসংযোগী (Cross-pollinated) উদ্ভিদসমূহের ফল উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন