- ইমদাদ চৌধুরী-
শাহ এ.এম.এস. কিবরিয়া সাহেব ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগ দেন। কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বোস্টনে ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি ও লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র অফিস থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং প্যারিসে ফরাসী ভাষা শিক্ষার কোর্স সম্পন্ন করেন। শাহ কিবরিয়া সাহেব, ১৯৫৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান কূটনৈতিক মিশনের সদস্য হিসেবে কলকাতা, কায়রো, জাতিসংঘ মিশন, নিউইয়র্ক, তেহরান এবং জাকার্তায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এবং ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। আমাদের কিবরিয়া সাহেব, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করে যা
বিস্তারিত পড়ুন :-
মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্য এবং ওয়াশিংটনের সিনিয়র কলামিস্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এ সময়ে তিনি ওয়াশিংটন থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ করতেন, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের যুদ্ধপরিস্থিতি, মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম এবং যুদ্ধকালীন অবস্থায় হানাদার বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পারত।
Shah A.M.S. Kibria Shaheb |
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ. এ. এম. এস. কিবরিয়া সাহেব : পূর্ণনাম শাহ আবু মোহাম্মদ শামসুল কিবরিয়া। (১৯৩১ থেকে ২০০৫) সফল অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, জাতীয় রাজনীতিক। জন্ম ১৯৩১ সালের ১ মে হবিগঞ্জে । তাঁর পিতা শাহ ইমতিয়াজ আলী ছিলেন সিলেট অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারের অন্যতম উদ্যোক্তা। কিবরিয়া সাহেব মৌলভী বাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতি
বিষয়ে ১৯৫২ সালে বি.এ (অনার্স) এবং ১৯৫৩ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন এবং দেড় মাস কারাবরণ করেন।
শাহ এ.এম.এস. কিবরিয়া সাহেব ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে পররাষ্ট্র সার্ভিসে যোগ দেন। কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বোস্টনে ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি ও লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র অফিস থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং প্যারিসে ফরাসী ভাষা শিক্ষার কোর্স সম্পন্ন করেন। শাহ কিবরিয়া সাহেব, ১৯৫৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান কূটনৈতিক মিশনের সদস্য হিসেবে কলকাতা, কায়রো, জাতিসংঘ মিশন, নিউইয়র্ক, তেহরান এবং জাকার্তায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এবং ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। আমাদের কিবরিয়া সাহেব, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করে যা
বিস্তারিত পড়ুন :-
মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্য এবং ওয়াশিংটনের সিনিয়র কলামিস্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এ সময়ে তিনি ওয়াশিংটন থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ করতেন, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের যুদ্ধপরিস্থিতি, মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম এবং যুদ্ধকালীন অবস্থায় হানাদার বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পারত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া সাহেব, ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বিভাগে ডিরেক্টর জেনারেল পদে যোগ দেন এবং মার্চ মাসে পররাষ্ট্র সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজিতে হাই কমিশনার এবং জাতিসংঘের ইউরোপীয় অফিস জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালে পররাষ্ট্র সচিব পদে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি এ সময়ে সার্কের প্রাথমিক ধারণাপত্রের খসড়া তৈরি করেন। ১৯৭৯ সালে কিবরিয়া সাহেব, গ্রুপ-৭৭ এর প্রস্ত্ততিমূলক কমিটির নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের বাণিজ্য এবং উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে (আঙ্কটাড) অংশ নেন। শাহ এ.এম.এস. কিবরিয়া সাহেব ১৯৮১ সালের ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাহ কিবরিয়া সাহেব, ১৯৮১ সালের মে মাস থেকে ১৯৯২ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতিসংঘের এশিয়া ও প্যাসেফিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ)-এর নির্বাহী সচিব হিসেবে আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেলের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কম্বোডিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান রিলিফ প্রোগ্রামে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ.এ. এম. এস. কিবরিয়া ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তাঁকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি মাননীয় প্রধানমন্তী জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে ২০০১সালে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন।
কিবরিয়া
সাহেব, অর্থমন্ত্রী হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা, ক্ষুদ্র পরিসরের কৃষিঋণ কার্যক্রম, স্বল্পব্যয়ে গৃহায়ন স্কীম, যুব কর্মসংস্থান কর্মসূচি, এবং কর্মসংস্তান ব্যাংকের সৃষ্টি তথা ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি। তথ্যপ্রযুক্তি সামগ্রীর শুল্কমুক্ত আমদানির ক্ষেত্রেও তিনি সফল কার্যকর পদক্ষেপ নেন। ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার প্রভাব মোকাবেলায় তিনি কাউন্টার সাইক্লিক্যাল পলিসি গ্রহণ করেন। তিনি সারাদেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষিমুখী অর্থনীতির প্রসারের উদ্যোগ নেন এবং তাতে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক হয়।
শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া মহোদয়, ১৯৯৭ সালে এশিয়া ও প্যাসেফিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ)-এর চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-এর গর্ভনিং কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ-এর চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স- এর অল্টারনেট চেয়ারম্যান ছিলেন।
এছাড়াও
শাহ.এ.এম. এস. কিবরিয়া সাহেব, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়ে কলামিস্ট ছিলেন। তিনি আরো ছিলেন সাপ্তাহিক মৃদুভাষণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: মৃদুভাষণ (১৯৯৭),
The Emerging New World Order (১৯৯৯), Bangladesh at the
Crossroads (১৯৯৯) এবং চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য।
শাহ. এ.এম.এস. কিবরিয়া সাহেব, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে বৈদ্যের বাজারে এক গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন। বাংলার ইতিহাস থেকে একজন অত্যন্ত মেধাবী মুখ যিনি কোন পরীক্ষায় জীবনে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হননি। শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে এক অনন্য সফল ব্যক্তিত্ব। যিনি শুধু শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রেই সফল ও ভাল ছিলেন তা নয় তিনি বিনয়, নম্র ভদ্র আন্তরিক ও দেশ প্রেমিক ও ছিলেন তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রেই অত্যন্ত সুযোগ্য ও সফল ছিলেন।
প্রয়াত সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী শাহ. এ.এম.এস. কিবরিয়া
সাহেব, ২০১০ সালে তথ্যপ্রযুক্তি সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আইসিটি চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী
শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ
সাবেক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ
এ এম এম
কিবরিয়া সাহেবকে (প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক) এবং
১৯৭১ সালে
ওয়াশিংটনে পাকিস্তান
দূতাবাসে দায়িত্বে
থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ
সরকারের প্রতি
আনুগত্য প্রকাশ
করে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত
গঠনের জন্য
(মরনোত্তর) স্বাধীনতা
পুরস্কার প্রদান করেন।
কিবরিয়া সাহেবের আচরণ ব্যবহারে কেউ কোনদিন এতটুকু কষ্ট পেয়েছে বলতে পারবে না আশা করি। আমি তাঁকে জীবনে স্বল্প সময় যতটুকু বাস্তবে কাছে দেখেছি ও কাছে পেয়েছি তিনি এত বড় মাপের মানুষ হয়ে ও কোন অহংকার ছিলনা। আমি কোন প্রয়োজনে ওনার কাছে গেলে তিনি স্নেহ করে বলতেন কি রে বাবা কি জন্য এসেছ কি করতে পারি ? কে কোন প্রটোকলের নেতা সেটা বিবেচনা করে তিনি কথা বলতেন না , সবার সঙ্গেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক।
কিবরিয়া সাহেবের কথা মনে আসতে , হযরত মোহম্মদ (সা:) এর একখানা হাদিস মনে পড়ল যে, নবীয়ে পাক (সা:)কে কোন এক সাহাবা কেরাম জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসুল (সা:) একজন মুমিন বা বেহেস্তী বান্দা এবং একজন খারাপ জাহান্নামী ব্যক্তিকে কিভাবে বুঝব ? নবীয়ে পাক (সা:) উত্তরে সাহাবাকে কেরামকে বললেন , কোন ব্যক্তির পাশে যাবার পর যদি তাঁর বিনয়, ব্যবহার , কথাবার্তায় ভাল লাগে তবে বিশেষ ব্যস্ততার জন্য ঐ ব্যক্তির পাশ হতে উঠে আসতে হচ্ছে কিন্তু হৃদয়ে খুব আফসোস হয় যে, আহ ! কি ভাল মানুষ ! বিনয় নম্রতায় , ভদ্রতায় ও কথাবার্তায় ! যদি আরো সময় হাতে থাকতো তাহলে ওনার পাশে বসে আরো জ্ঞানগর্ভ ভালো কথা শুনতাম । মোট কথা হল , কারো পাশে গেলে আত্নার প্রশান্তি মিলে এমন লোকই মুমিন ব্যক্তি।
আর যদি তার বিপরীত হয় যে, কোন ব্যক্তি আজ ক্ষমতায় বিশেষ প্রয়োজনে তার কাছে যেতে হয় কিন্তু তার ব্যবহার , কথাবার্তায় মনের সন্তুষ্টি আসেনা ; মনে হয় কখন যে আমার কাজটি শেষ হয় আর আমি এখান থেকে দ্রুত চলে যেত পারি তাহলে ঐ ব্যক্তিটিই খারাপ লোক।
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে আমার মনে হয় যে, আমি কিবরিয়া সাহেবের ব্যবহারে খুব মুগ্ধ ছিলাম ও মনেহয়েছিল ওনার মত নৈতিক-আদর্শ জ্ঞানে-গুনে পরিপূর্ণ একজন অত্যন্ত ভাল মানুষের যতটুকু সান্নিধ্য পেয়েছিলাম ততটুকু সময় আমি হৃদয়ে শান্তি অনুভব করেছিলাম। তাই আমি বিশ্বাস করি এমন একজন মানুষ দুনিয়ার শিক্ষা কর্ম ক্ষেত্রেই শুধু ভাল ছিলেন না মহান আল্লাহর কাছেও ভাল ও আল্লাহর মুমিন বান্দা ছিলেন। এমহান ব্যক্তির হত্যায় ও সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে অকালে অসুস্থ হয়ে গত ৯ নভেম্বর ২০১৫ কিবরিয়া পত্নী আসমা কিবরিয়াকে আমরা হারিয়েছি। ইনশাআল্লাহ তাঁরা উভয়ই বেহেস্তবাসী।
কিবরিয়া সাহেবের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তারা আসমা কিবরিয়ার মৃত্যুর জন্যও অবশ্যই পরোক্ষভাবে দায়ী ।।
ইমদাদ
চৌধুরী - ই-মেইল :
imdadchowdhury@gmail.com http://www.imdadchowdhury.blogspot.com/p/blog-page.html
সূত্রঃ- ইন্টারনেট, গুগুল, ন্যাশনাল
এনসাইক্লোপিডিয়া অফ বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন